জাম খাবেন কি খাবেন না ? কি উপকার হতে পারে জাম থেকে ?

Java Plum Benefits :

জামের সময় এসে গেছে ।বাজারে গেলেই চোখে পড়ে জাম , যাকে অনেকে জামুন বা ইন্ডিয়ান ব্ল্যাকবেরি বলে ।

এটি দেখতে ১ থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার লম্বা, প্রায় আয়তাকার। গাছ ১৪ থেকে ৬০ ফুট বা এর বেশিও লম্বা হতে পারে। পাতা সরল, বড়, চামড়া পুরু এবং চকচকে। গাছ চির সবুজ। চকচকে পাতা এবং চিরসবুজ হবার কারণে এর আলংকরিক মান বেশ ভালো।

জাম গাছে মার্চ এপ্রিলে ফুল আসে। জামের ফুল ছোট এবং ঘ্রানওয়ালা। মে জুন মাসে ফল বড় হয়। ফলটি লম্বাটে ডিম্বাকার। শুরুতে এটি সবুজ থাকে যা পরে গোলাপী হয় এবং পাকলে কালো বা কালচে বেগুনি হয়ে যায়। এটি খেলে জিহ্বা বেগুনি হয়ে যায়।

জাম খেতে বেশ ভালো । এর মধ্যে  বেশ কয়েকটা স্বাদ একসাথে পাওয়া যায় , যেমন টক, মিষ্টি ও হালকা কষা  । গরম কালে সূর্যের রোদের বিরূদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে জাম খুবই সাহায্য করে । এতে বিপুল পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ,এন্টিঅক্সিডেন্ট , ফ্লাভোনইডস, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ,ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম ।

জাম বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ করতে পারে । যেমন ক্যান্সার, ডায়াবিটিস, ইনফেক্শন, লিভারের রোগ ।

এখানে আমি জামের কিছু উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করছি ।

১. জামে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম,একে লো ক্যালোরি ফ্রুট বলা হয় ।তাই জাম খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় নেই । জাম হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ।

২. জামের রস লিভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় ।

৩. মুখের দুগন্ধ রুখতে জামের রস ব্যবহার করা হয় । জামের রস  মাউথ ওয়াশ হিসেবে কাজ করে ।
৪. জামের ছাল, বীজ ও পাতা সবই গলিকসুরিয়া ও ব্লাড সুগারের পরিমাণ কমায় ।
তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য জাম খাওয়া খুবই ভালো ।
৫.জামের বীজ গিনগিভিটিস মানে মারি দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করে ।